বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩৬ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক :
পদ্মার ভাঙনে শরীয়তপুরের নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলায় হাজার হাজার পরিবার সর্বস্ব হারালেও প্রতিরোধে নেই কার্যকর কোনো উদ্যোগ। এমনকি ভাঙনে ঘরবাড়ি হারানো মানুষের সহায়তায় সরকারের পক্ষ থেকেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আর এমন অবস্থায় পদ্মার ভাঙনকে ‘একেবারেই স্বাভাবিক ঘটনা’ হিসেবে দেখছেন পানিসম্পদমন্ত্রী।
এমনকি ভাঙনের শিকার মানুষের উপরেই দায় চাপাচ্ছেন তিনি। তবে, ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির জন্য আমলাতান্ত্রিক জটিলতাই দায়ী, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
পদ্মার তীব্র স্রোতে ভাঙছে বাড়িঘর, ভেসে যাচ্ছে হাজারো মানুষের স্বপ্ন। ভাঙনে গত দুই মাসে ঘরবাড়ি হারিয়েছে ৫ হাজারের বেশি পরিবার। কিন্তু পদ্মায় সবকিছু হারানো এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই। ভাঙন প্রতিরোধ কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় সরকারের পক্ষ থেকেও নেই কার্যকর কোনো উদ্যোগ।
বরং পদ্মার ভাঙন একেবারেই স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবেই দেখছেন সরকারের পানিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তিনি বলেন, ইর্মাজেন্সী বলে কিছু নেই। যেখানে প্রজেক্ট রয়েছে, সেখানে কাজ হচ্ছে। নড়িয়া একমাত্র জায়গায় নয়, শুধু সেখানেই ভাঙন হচ্ছে। এটা নদী ভাঙনের দেশ। এখানে আগে টিনের ঘর করতো। এখন দালান করছেন। ভাঙবেই-তো।
এদিকে, পদ্মার ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির জন্য আমলাতান্ত্রিক জটিলতাই দায়ী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক ইনামুল হক বলেন, ‘প্রতিরক্ষা কাজগুলো এমন, যদি ঠিকমতো কাজ হয়, তাহলে নদীকে ওখানে ঠেকানো যায়। কিন্তু উজানে ও ভাটিতে আবার ভাঙে। গত তিন বছর যাবত ধরে প্রকল্পটা ঘুরছে, অনুমোদন নিতে পারেন নি। এছাড়াও টাকা নিতে পারেন নি। এখন-তো অনেক দূর পর্যন্ত ভেঙে গেছে। বহু সম্পদ সম্পত্তি ভেঙে গেছে।’
এছাড়া নদী ভাঙন এলাকার মানুষের সহায়তায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
Leave a Reply